রোহিঙ্গা শিশুদের অনিশ্চিত যাত্রা

তিন দিন উখিয়ার আঞ্জুমান পাড়ায় অবস্থানের পর আজ রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে। বড়দের সঙ্গে আছে শিশুরাও। ১৯ অক্টোবর, পালংখালী, উখিয়া, কক্সবাজার।

পথে পথে মানুষের সারি, তাবুতে তাবুতে শিশুর কান্নার রোল। আর পেছনে পড়ে আছে স্বজন হারানোর দুঃসহ বেদনার্ত জীবনের গল্প। গুলির মুখে এসব মানুষ হারিয়েছে প্রিয় স্বামী, সন্তান আর পিতামাতাকে। তারপর অনিশ্চিত জীবনের পথে যাত্রা। পালিয়ে আসা শরণার্থীদের সাথে বাংলাদেশে এসেছে প্রায় দেড় লাখ শিশু। লাখ লাখ মানুষের ভিড়ে অনেকেই হারিয়ে ফেলছেন প্রিয় শিশু সন্তানকে। সন্তানহারা বাবা-মা আর তাদের ঠিকানা না জানা শিশুরা সময় পার করছে চোখের জলে।

বাবা-ছেলের চোখে মুখে অসহায়ত্ব, যেন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তারা। ১৪ অক্টোবর, শাহপরীর দ্বীপ, টেকনাফ, কক্সবাজার।
অস্থায়ী শরণার্থীশিবির থেকে শিশুদের ট্রাকে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ১৪ অক্টোবর, হারিয়াখালী, টেকনাফ, কক্সবাজার।
দুই দুধের শিশুকে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসেছেন এক অন্তঃসত্ত্বা নারী। ১৫ অক্টোবর, বালুখালী, উখিয়া, কক্সবাজার।
দুই শিশুকে নিয়ে কোমরসমান পানি মাড়িয়ে বাংলাদেশের দিকে এক অসহায় মা। ১৬ অক্টোবর, পালংখালী, উখিয়া, কক্সবাজার।
কোলে দুই শিশু নিয়ে এক মায়ের অনিশ্চিত যাত্রা। ১৯ অক্টোবর, পালংখালী, উখিয়া, কক্সবাজার।
বৃষ্টির মধ্যে শিশুদের নিয়ে এক দম্পতির সংগ্রাম। ১৭ অক্টোবর, পালংখালী, উখিয়া, কক্সবাজার।
দুই শিশুকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন এক মা। ১৮ অক্টোবর, পালংখালী, উখিয়া, কক্সবাজার।
ডায়রিয়াতে আক্রান্ত শিশু জিগরকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন বাবা। ১৮ অক্টোবর, পালংখালী, উখিয়া, কক্সবাজার।

ছবি: সাইফুল ইসলাম